মোঃ বাছির উদ্দিন।।
গোমতি নদী ও সালদা নদীর ভাঙনে এবং পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার তান্ডব হয়েছে।
এতে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি বাড়তে পারে আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে এসব টিউবওয়েল ব্যবহার উপযোগী করতে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। যদিও এর আগে আর্সেনিক হয়ে মানুষ মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যে তাদের দপ্তর বন্যা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্যায় এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাব মতে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি হিসাব মতে অগভীর টিউবওয়েলের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে।
তবে উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪টি টিম উপজেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মালাপাড়া ইউনিয়ন, সাহেবাবাদ ইউনিয়ন, শশীদল ইউনিয়ন এবং সদর ইউনিয়নে পানি বিশুদ্ধকরন করতে কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। যা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পর্য্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নে পানি বিশুদ্ধকরন কাজ চলমান হবে।
গভীর নলকূপ জীবানুমুক্তকরন করার জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করছে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সদর ইউনিয়নের কল্পবাস গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, বন্যায় বেশিরভাগ টিউবওয়েল ডুবে গেছে। পানি নেমে গেলেও এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। আপাতত পানি বিশুদ্ধকরন ফিটকিরি দিয়ে পানি ব্যবহার করা হচ্ছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ হাসান বলেন, বিশুদ্ধ পানির সংকট কমাতে পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট বিতরন করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্থ টিউবওয়েলগুলোতে হাইজিন কিট দিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করা হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page